উৎসঃ ইন্টারনেট

মানুষের পাশাপাশি কয়েকটি প্রাণীর শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ার ঘটনা গণমাধ্যমে এসেছে। কিন্তু পেঁপে করোনা পজেটিভ-এমন কথা শুনে যে কেউই আশ্চর্য হয়ে যাবে। তানজানিয়ায় টেস্টিং কিটে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করে এমনটা দেখা গেছে।শুধু মানুষ নয়, ছাগল এমনকি পেঁপেরও করোনা পজিটিভ এসেছে। আমদানি করা ওই টেস্টিং কিটগুলো ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি জন মাগুফুলি। তিনি তানজানিয়ান সিকিউরিটি ফোর্সকে কিটের মান পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিকিউরিটি ফোর্স এলোমেলোভাবে পেঁপে, ছাগল এবং ভেড়াসহ বেশ কয়েকটি উদ্ভিদ ও প্রাণীর ওপর পরীক্ষা চালায়।যখন সেই সংগৃহীত নমুনাগুলো টেস্টিং ল্যাবে পাঠানো হয়, তখনও ওই নমুনার উৎস সম্পর্কে কোনো কিছু জানানো হয়নি ল্যাবকে। অর্থাৎ নমুনাগুলো উদ্ভিদ ও গবাদিপশুর দেহ থেকে নেওয়া হলেও মানুষের নাম ও বয়স দিয়েই সেগুলো ল্যাবে পাঠানো হয়। তখন এই ধরনের False report পাওয়া যায়। সুতরাং পেঁপে Covid-19 পজিটিভ খবরটি অসত্য।

তো আসুন জেনে নেই পেঁপে সম্পর্কে কিছু সত্যিকারের তথ্যঃ

উৎসঃ ইন্টারনেট

পেঁপে, বৈজ্ঞানিক নাম Carica papaya, এরা Caricaceae পরিবারের সদস্য। এর অনেক ভেষজ গুণ রয়েছে। এর ইউনানী নাম পাপিতা ও আরানড খরবূযা। এবং আয়ুর্বেদিক নাম অমৃততুম্বী। এটি একটি ছোট আকৃতির অশাখ বৃক্ষবিশেষ। লম্বা বো‍টাঁযুক্ত ছত্রাকার পাতা বেশ বড় হয় এবং সর্পিল আকারে কান্ডের উপরি অংশে সজ্জিত থাকে। প্রায় সারা বছরেই ফুল ও ফল হয়। কাঁচা ফল সবুজ, পাকা ফল হলুদ বা পীত বর্ণের। এটি পথ্য হিসেবে ও ব্যবহার হয়। কাচা, পাকা দু’ভাবেই খাওয়া যায়; তবে কাচা অবস্থায় সব্জি এবং পাকলে ফল। কাচা ফল বাইরের দিক গাঢ় কালচে সবুজ এবং পাকলে খোসা সহ কমলা রং ধারন করে।

উপকারিতাঃ

উৎসঃ ইন্টারনেট

*পাতা ও অপক্ক ফল তরুক্ষীর সমৃদ্ধ। এই তরুক্ষীরে প্রচুর পরিমাণে হজমকারী এনজাইম প্যাপাইন বিদ্যমান। পাতায় অ্যালকালয়েড, গ্লুকোসাইড এবং ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন আছে। পেঁপে রক্ত কাশি, মূত্রনালীর ক্ষতে, দাদ ও সোরিয়াসিস-এ, কোষ্ঠকাঠিণ্যে এবং কৃমিতে হিতকর। পাকা পেঁপে অর্শরোগ ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে হিতকর।

*পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি ও ই। এই ভিটামিন গুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। এছাড়া পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ যা চোখের জন্য উপকারী।

*চিনির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেঁপে একটি আর্দশ ফল।

*কাঁচা পেঁপে শরীরের জন্য খুব উপকারী। এতে রয়েছে প্রোটিওলাইটিক এনজাইম। এই উপাদানটি প্রটিন হজম করতে সাহায্য করে । ক্যান্সার নিরাময়েও ভূমিকা রাখে, এই জন্য পেঁপে রান্নার পরিবর্তে কাঁচা খাওয়াটাই উত্তম। পেঁপেতে আরও রয়েছে প্রচুর পরিমাণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনোক্সিড যা দেহে ক্যান্সারের কোষ তৈরিতে বাঁধা দেয়। Harvard School of Public Health’s Department এক গবেষণায় দেখা গেছে যে পেঁপের বিটা কেরোটিন উপাদান কোলন ক্যান্সার, প্রোসটেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

*কাঁচা পেঁপে আমাদের দেহের সঠিক রক্ত সরবরাহে কাজ করে। আমাদের দেহে জমা থাকা সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে যা হৃদপিণ্ডের রোগের জন্য দায়ী। বেশিভাগ চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ বছরের পর থেকে মানুষের রক্তচাপসংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। হয়তো রক্তচাপ বাড়ে নয়তো কমে। রক্তচাপ বাড়লে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। হঠাৎ পড়ে গেলে শরীরের কোন অংশ অকেজো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, শরীরে অসাড়তা দেখা যায়। উচ্চরক্তচাপ আক্রান্তরা কাঁচা বা পাঁকা পেঁপে ব্যবহার করতে পারেন। দুটোই উপকারী।

*ফাইলেরিয়া মশাবাহিত রোগ। ফাইলেরিয়ার বিভিন্ন উপসর্গ নিরাময়ে পেঁপে গাছকে ব্যবহার করা যায়। কয়েকটি পেঁপে পাতা সংগ্রহ করে সেগুলোকে গরম পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার পাতাগুলোকে গরম অবস্থায় সেঁকে নিয়ে নিয়মিত কয়েক দিন সেঁক দিলে ফাইলেরিয়ার উপসর্গ অনেকটা কমে যাবে।

উৎসঃ ইন্টারনেট

তথ্য সূত্রঃ

1. Duke, J. A. et al. (2002) (CRC Handbook of medicinal herbs);
2. Morton JF (1987). “Papaya”. NewCROP, the New Crop Resource Online Program, Center for New Crops & Plant Products, Purdue University; from p. 336–346;
3. Boning, Charles R. (2006). Florida’s Best Fruiting Plants: Native and Exotic Trees, Shrubs, and Vines. Sarasota, Florida: Pineapple Press, Inc. pp. 166–167;
4. “Papain”. National Library of Medicine, US National Institutes of Health;
5. USDA Nutrient Database;
6. Seigler DS, Pauli GF, Nahrstedt A, Leen R (2002). “Cyanogenic allosides and glucosides from Passiflora edulis and Carica papaya”. Phytochemistry. 60 (8): 873–82; 
7. Titanji, V.P.; Zofou, D.; Ngemenya, M.N. (2008). “The Antimalarial Potential of Medicinal Plants Used for the Treatment of Malaria in Cameroonian Folk Medicine”. African Journal of Traditional, Complementary and Alternative Medicines. 5 (3): 302–321. 

External links:
1. Somoynews.tv (6/5/2020);
2. Daily ittefaq Online (6/5/2020);
3. NTV online (6/5/2020);

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here