রয়েল, কী এক অদ্ভুত নাম! এটি বাংলাদেশের একটি ছোট অপ্রচলিত টক ফল। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এই ফলটিকে নলতা, লেবইর, ফরফরি, নইল, নোয়েল, রোয়াইল, অড়বড়ই, আলবরই, অরবরি, লবণী, হরীফুল ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়।এর ইংরেজি নাম Otaheite gooseberry, Malay gooseberry, Tahitian gooseberry, Country gooseberry, Starberry, West India gooseberry, Sour cherry ইত্যাদি। এর বৈজ্ঞানিক নামটাও বৈচিত্র্যময় Phyllanthus acidus। রয়েল গাছ Phyllanthaceae পরিবারের সদস্য। এটি গুল্ম এবং বৃক্ষের মাঝামাঝি আকারের, যা দুই থেকে নয় মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। এর ছাল কিছুটা রুক্ষ, পাতা সরল, একান্তর, পুষ্পবিন্যাস পার্শ্ববর্তী ও গুচ্ছবদ্ধ। ফুল একলিঙ্গী ও একই গাছে সহবাসী, অর্থাৎ স্ত্রী ও পুরুষ ফুল আলাদা, তবে একই ডালে জন্মে থাকে। ফল গোলাকার, পাঁচ-ছয় খণ্ড ভাঁজ দেখা যায় যা পাকলে হলুদ রং ধারণ করে। ফলের ব্যাস ০.৫ থেকে ১ সেমি পর্যন্ত হতে পারে। এর ফল ও পাতা বেশ টক আর অম্লময়। ফুলের রং লালচে। ফুল ফোটে এপ্রিল মাসে। আমাদের দেশে চট্টগ্রাম ও সিলেট এলাকায় উঁচু ভূমিতে বাড়ির ভিটায় এদের বেশি দেখা যায়।
ব্যাবহারঃ
টক ফল বাংলাদেশে অনেকেরই প্রিয় বস্তু। বাংলাদেশে একে ফল হিসেবে বিট লবণ দিয়ে কাচা খাওয়া হয় আবার ডাল এ দিয়ে রান্না করেও খাওয়া হয়।তাছাড়া এর আচার খুব ই সুস্বাদু। পৃথীবির অনেক স্থানেই রয়েল গাছ লাগানো হয় সৌন্দর্য বর্ধনকারী বৃক্ষ হিসেবে।
উপকারীতাঃ
এর ফল প্রচুর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূরে রাখে। এতে প্রচুর পানি থাকে বলে বেশি তৃষ্ণার্ত থাকলে এটা খেলে কিছুটা তৃষ্ণা নিবারিত হবে। এর প্রধান রাসায়নিক পদার্থ হচ্ছে এস্করবিক এসিড, ফাইটো স্টেরোল ও স্যাপনিন। ভারতীয় বনৌষধি মতে, এর ফল ক্ষুধার উদ্রেক করে, লিভারের এক উপকারী টনিক। সর্দি-কাশিতে এর নির্যাস ব্যবহৃত হয়। চীন ও থাই ভেষজে রয়েল ‘ইয়াখিও’ ওষুধের এক মূল্যবান উপাদান। জ্বর উপসমে ও চর্মরোগে এর পাতার নির্যাস ব্যবহৃত হয়। চিনির পরিমাণ একেবারেই কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রয়েল একটি আর্দশ ফল। এই ফল মাড়ির স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে, এটি শক্তি বর্ধক, ক্লান্তিবারক এবং এর সেবনে বিরক্তিভাব ও মেজাজ খিটখিটে ভাব দূর হয়।উচ্চরক্তচাপ আক্রান্তদের জন্য কাঁচা রয়েল ফল উপকারী।
তথ্যসূত্রঃ 1. Moynul Islam et al. (2020). A Survey of Medicinal Plants Used by Traditional Healers and Indigenous People of Shariatpur District, Bangladesh. J. of Advanced Botany and Zoology, V7I4.05. DOI: 10.5281/zenodo.3841153;
2. Janick, Jules; Robert E. Paull (12 April 2008). The Encyclopedia of Fruit & Nuts. p. 373;
3. National Geographic (18 November 2008). Edible: an Illustrated Guide to the World’s Food Plants p. 110;
4. K. Gupta (1 January 1992). Concept S Dictionary Of Agricultural Sciences. Concept Publishing Company p. 346–347;
5. Leeya, Yuttapong, Mulvany, Michael, Queiroz, Emerson, Marston, Andrew, Hostettmann, Kurt, Jansakul, Chaweewan (2010). “Hypotensive activity of an n-butanol extract and their purified compounds from leaves of Phyllanthus acidus (L.) Skeels in rats”. European Journal of Pharmacology. 649 (1–3): 301–13;
6.Sousa, M.; Ousingsawat, J.; Seitz, R.; Puntheeranurak, S.; Regalado, A.; Schmidt, A.; Grego, T.; Jansakul, C.; et al. (2006). “An Extract from the Medicinal Plant Phyllanthus acidus and Its Isolated Compounds Induce Airway Chloride Secretion: A Potential Treatment for Cystic Fibrosis”. Molecular Pharmacology. 71 (1): 366–76.
Howdy! I siply wish to gige youu a hugee
thumbgs up for your gredat information yyou have got rigvht
hedre onn thius post. I will bee coming bacck
to your sie for more soon.
Hi there colleagues, its impresskve pot regarding educationand completely defined, eep
itt up alll thhe time.
চমৎকার !
ধন্যবাদ লেখক কে এমন সুন্দর একটি পোস্ট এর জন্য ।
আপনার কাছ থেকে আরো লিখা চাই।
আশা করি আপনি আমাদের আরো লিখা উপহার দিবেন ।
You’re welcome & thanks to you for making such a wonderful platform